বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

।। চন্দ্র-বিন্দু।।
/১/
জগতে প্রেম যে কি সর্বনাশা বস্তু তা আজকাল সর্বত্রই প্রতীয়মান। যুবক যুবতী, কীট পতঙ্গ, দেব দেবী, পাখি জানোয়ার, কিছুই এই দুরূহ বিষয় থেকে বিরত থাকতে পারেনা। আগে তবু যুবক যুবতী পার্কের আড়ালে নীরব কোণ খোঁজার চেষ্টায় মত্ত থাকত। ইদানিম প্রৌঢ় প্রৌঢ়া আবার কিশোর কিশোরীরাও সেই মাদক রসে সম্পৃক্ত হয়ে উন্মাদ। তাদের বিরহ যাতনা এতই প্রবল, যে, দেশের আইনানুগ ব্যবস্থা অব্দি বদল করতে বাধ্য হতে হয়। সেই প্রেম কে বিষয় বস্তু করে শিল্পও যেন আজকাল উপচে পড়ছে। কলকাতা শহরে অবশ্য এইরূপ চিত্রনাট্য থেকে বিরত দুটি ব্যতিক্রম বাস করছিল।

*প্রথম আলাপ*
একাডেমী তে নাট্য সৃজন পরিকল্পনা উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সারাদিনে তিনটি নাটকের সবকটি প্রেম বিষয়ক। নায়িকা হয় বিরহ বেদনাতুর হয়ে সজল নয়নে অপেক্ষারত নাহয় নায়ক বিরহে দুঃখকাতর হয়ে মদ্যপ। শেষ নাটকে দেবদাস রূপী নায়ক যখন মদের বোতল হাতে নায়িকার উদ্দেশ্যে soliloquy আওড়াচ্ছে, আমাদের গল্পের ব্যতিক্রমী যুবক দুম করে বলে ফেলেন, "অসহ্য!"
পাশ থেকে কেউ বলে, "বীভৎস!"

 সেই প্রথম আলাপ ঐ দুই ব্যতিক্রমী যুবক যুবতীর। যারা প্রেমরূপ মাদকতা থেকে শত হস্ত দূরে। দুজনের অভিব্যক্তি একসাথে প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় একে অপরের দিকে ফিরে তাকাল। মঞ্চ থেকে আসা সামান্য আলোকেও যুবক অপরিচিতা যুবতীর চেহারায় সুলক্ষণগুলি যেন স্পষ্ট দেখতে পেল।

"প্রেম এর জন্যে বিহ্বল হয়ে এতটা বাড়াবাড়ি অতিনাটকীয় ব্যাপার নয়? বাস্তব যে আরও অনেক বেশী রূঢ়! আমি চন্দ্র। আপনি?" যুবক বলে।

"অবশ্যই অতিনাটকীয়। এইসব ন্যাকামী আমার পোষায় না। আমি বিন্দু।" পাশেই চেয়ারে বসা অপরিচিতা যুবতী উত্তর দেয়।

"বাবা! আমি চন্দ্র আপনি বিন্দু। এই আলাপ আরও গাঢ় হলে ভালো।"

"অবশ্যই।"

"একটা কথা বলে রাখি। আমি কিন্তু প্রেম মানিনা।"

"আমিও মানি না"

"বাঃ! এইতো চাই। নাটকের শেষে চা খাবেন?"

"বেশ চলুন। চা খাওয়া যাক!"

চন্দ্র ও বিন্দুর পরিচয় গাঢ় হল।

/২/
*এক মাস পর*

চন্দ্র বলল, "দেখো বিন্দু, এই জগতে প্রেম হল সব নষ্টের মূল। যে বা যারা প্রেম করছে, তারাই মরছে।"

"আমিও একমত।" কফি হাউসের ধূমায়িত কফিতে সাবধানে চুমুক দিতে দিতে বিন্দু বলে।

"বিবাহিত জীবনের প্রয়োজন আসলে ব্যয় সংকোচ করে যাতে দুটি মানুষ জীবন অতিবাহিত করতে পারে। সন্তানাদি হলে বংশ বৃদ্ধি পাবে। নাহলে, কিই বা যায় আসে। কিন্তু হায় রে দুনিয়া, পরিণতি দেখো। সংসার করতে ঢুকেই স্বামী স্ত্রী প্রেম করবার অহর্ণিশ চেষ্টায় মত্ত হয়ে ওঠে। একেবারে ধিক্কার জনক ব্যাপার।"

"আমিও তাই মনে করি। প্রেম আর ক্ষুধা। এই দুটি জিনিস না থাকলে, মানুষের জীবন কত সুখের হত? তাই না বল?"

"শুধু চমৎকার? স্বর্গ বলে কোন কাল্পনিক জায়গার কথা চিন্তাও করত না মানুষ। খুব সাবধান! তুমি কিন্তু আবার এই প্রেমে পরে যেও না!"

"সে বিষয়ে তুমি নিশ্চিত থাক। আমি আধুনিকা, নারীবাদী। ফেসবুকে আমার পোস্টগুলি পরে দেখো! সব কটি প্রেম বিদ্বেষী।"

"আমি ব্যয় সঙ্কোচের জন্য বিবাহ নামক ভবিতব্য কে মেনে নিতে রাজি আছি। কিন্তু প্রেম করতে নয়।"

"আমিও তাই।"

/৩/
*তিন মাস পর*
নন্দন চত্বরেই একটি পাথুরে বেদীর ওপর বসে গরম চানাচুর আর চা সহযোগে আড্ডা দিচ্ছিল চন্দ্র আর বিন্দু। আসে পাশে যাতায়াত করা লোকজন তাদের দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছে, কারণ তাদের প্রেমিক প্রেমিকা বলে মনে হলেও, আচরণে কেমন যেন গাফিলতি নজরে পড়ছে।

চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়েই বিন্দু 'উফফ!' বলে ওঠে।

"কি হল আবার?" চন্দ্র জানতে চায়।

"এত গরম চা। জিভ পুরে গেল।" বিন্দু নিজের জিভের অগ্রভাগ প্রদর্শন করে।

"আহা! তাড়া তো কিছু নেই। তুমি জিরিয়ে নিয়ে খাও।" চন্দ্র চায়ের দাম মিটিয়ে চাওয়ালা কে কিঞ্চিৎ রক্ত চক্ষু প্রদর্শন করে।

"আচ্ছা চন্দ্র। তুমি তো প্রেম নিয়ে অনেক কিছু জানো। বলতে পারবে এর উপসর্গ গুলি কি কি?"

"কি নয় সেটাই বলা সহজ। প্রেমের মূল উৎপাত হল দেখতে না পেলে মন কেমন করা। এই যে তুমি আর আমি। রোজ তো দেখা করি। কিন্তু একটু দেরী হলে কি মন খারাপ করে?"

বিন্দু চায়ের কাপে চুমুক দেয়। কথাগুলি বোধহয় গিলতে সুবিধা হল খানিক। তারপর আলতো করে বলে , "আর?"

"আর যেমন ধর নিয়ন্ত্রণ করা। আমি যে এত সিগারেট খাই। তুমি নিয়ন্ত্রণ করনা। এই জন্য তোমার সাথে মিশি।"

বিন্দু আবার চায়ের কাপে চুমুক দেয়। সেবার টুকিটাকি রেস্তোরা তে খেতে গিয়ে চন্দ্র পাঁচ প্লেট মোমো খেয়ে ফেলেছিল। আজ বিন্দু নিজের হাতে মোমো বানিয়ে নিয়ে এসেছে। সেই কথা ভুলতেই বসেছিল। ব্যাগ থেকে টিফিন বাক্স বার করতে গিয়ে বলে,
"আর কি কি?"

"কি আর আবার। নিজের ক্ষতি করে অন্যের ভালো করবার চেষ্টা। রাত করে স্বামী বাড়ি ফিরলে না খেয়ে বসে থাকা। হাত পুড়িয়ে ভালো মন্দ রান্না করা। ছেলেদের তো আর অত মুরোদ নেই। বড়জোর সিগারেট বিড়ির খরচ বাঁচিয়ে বৌ এর জন্য টুকটাক উপহার কিনে আনা।"

কথা গুলো শুনেই কেমন যেন খাবি খেল বিন্দু। ব্যাগের মধ্যে টিফিন বাক্সটা আবার ঢুকিয়ে রাখতে গিয়েছিল। কিন্তু বিধির বিচার আটকায় কে। চন্দ্র টিফিন বাক্স দেখে ফেলেছে।

"আরে ওটা কি? কই দেখি?"

টিফিন বাক্স হাত বদল হল।

"মোমো? তুমি টিফিন খাওনি আজ অফিসে?"

প্রসঙ্গ পরিবর্তনের সুযোগ পাওয়া গেল। বিন্দু হেসে বলে, "না আসলে কাজের চাপে খাওয়া হয়নি।"

চন্দ্র অতি বেয়াক্কেল। দিব্য টিফিন বাক্স খুলে একটা মোমো মুখে পুরে ফেলেছে।

"আরে বাঃ! এতো পুরো টুকিটাকি মোমো দোকানের মতন খেতে হয়েছে! চাটনি দেয়নি? আরে তুমি নাও একটা? কিছু খাওনি তো!"

নিজের হাতের কেরামতি টুকিটাকি দোকানের প্রশংসার মধ্যে দিয়েই আত্মস্থ করে নিল বিন্দু। ঠোঁটের আড়ালে আলগা একটা হাসি লুকিয়ে নিজেকে সামান্য বাহবা দিল। পরক্ষণেই মনকে সতর্ক করল। পা পিছলে গেল বুঝি।

/৪/
*ছয় মাস পর*
কলকাতা শহরে মেসে থাকার থেকে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া ভালো। আধুনিক Live Together কে অনুকরণ করে চন্দ্র তাই বিন্দুর সাথে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার পরিকল্পনা করে নিল। কিন্তু উভয় পক্ষের পারিবারিক মত বিরোধ হতে পারে এই রকম সম্ভাবনার কথা অনুমান করে বিন্দু কিছু দিনের জন্য ঠিকানা বদল স্থগিত করে দেয়। কিন্তু চন্দ্রের নতুন বাড়িতে আসা যাওয়া বাড়তে থাকে। এক রবিবার সকালে বাড়িতে এসে বিন্দু অবাক।

"কি অবস্থা করে রেখেছ ঘরের? জানলায় ash tray। চায়ের কাপে সিগারেটের ছাই। অর্ধেক বাসন না মেজে ফেলে রেখেছ বেসিনে। চাদর বদলাও নি কত মাস কে জানে। জামা কাপড় কিভাবে ছড়িয়ে রেখেছ। বিছানায় তুমি শোও কোথায়? বই পত্র ফাইল এগুলো কি?"

ঘরের কোণে ঘাড় গোজ করে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে চন্দ্র হেসে বলে, "ওই আর কি। আলসেমি!"

"তুমি যাও এখন। বাজার থেকে কিছু সব্জি ডিম কিনে নিয়ে এসো। আমি ঘরটা একটু গুছিয়ে ফেলি।"

সকাল থেকে একটু একটু করে ঘরের চেহারা পাল্টে ফেলে বিন্দু। লক্ষ্মী শ্রী যেন এতদিনে ঘরের চারদিকে। দুপুরে সরু চালের ঝরঝরে ভাত, ঝিরি ঝিরি করে কাটা আলুভাজা, মুশুর ডাল আর ডিমের ঝোল রান্না করে দুজনে মিলে খায়। চন্দ্র বাজার করে ফিরে এসে নিজের ঘর দেখে নিজেই চিনতে পারেনি।

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় শোয় দুজন। একটাই বালিশ থাকার কারণে মাথায় মাথা ঠেকিয়ে শুয়ে আছে দুজন। পাখার হওয়ায় বিন্দুর চুলগুলি এলোমেলো হয়ে উড়ছে। চন্দ্র পাশ থেকে সেই চুলের মিষ্টি গন্ধ উপভোগ করছে।

"তুমি এইবার চলে আসো। আর মেসে থেকে কি হবে?"

"তাই আসতে হবে দেখছি। আর তুমি এবার সিগারেট কমাও। এত পয়সা জমলে একটা নিজের ফ্ল্যাট হয়ে যেত।" সিগারেট এর কথা বলেই জিভ কাটে বিন্দু। তারপর সামলে নিয়ে বলে, "পাশের ঘরে একটা খাটের বন্দোবস্ত করো। আমি আসছে মাসেই চলে আসব।"

"সেই ভালো। আমরা তো আর প্রেম করছিনা যে লোকে কি ভাবলো তাই নিয়ে মাথা ঘামাবো।"

সেদিন বিকেলেই দুজন মিলে একটা সিঙ্গেল বেড আর ঘর সাজাবার কিছু সামগ্রী কিনে নিয়ে আসে।

/৫/
*এক বছর পর*
চন্দ্র আর বিন্দু এখন এক সাথেই থাকে। দুটো বেডরুমে আলাদা থাকা, যে যার নিজের মত। চন্দ্র কোন অধিকার দেখায় না। তবে বিন্দু মাঝে মধ্যেই ঝাটা ও নেতা নিয়ে চন্দ্রের ঘরে হামলা চালায়। তখন জরুরি ফাইল, বই, খবরের কাগজের কাটিং সিগারেটের বাক্স হারিয়ে যায়। কিন্তু বিন্দু যথারীতি এসে সেইটা খুঁজে পায়। এক হাড়িতে ভাত হলেও যে যার নিজের পছন্দ মত রান্না করে নেয়। একে অপরকে একটু আধটু ভাগ দেয়। কিন্তু আজ অব্দি তারা প্রেম করেনা।

রোজকার নিয়ম মত চন্দ্র রাত আটটার সময় অফিস থেকে ফেরে। বিন্দু এখন একটা স্কুলে পড়ায়। কাজেই সন্ধ্যে ছটার মধ্যেই সে ঘরে ফিরে আসে। তারপর ডাইনিং রুমে বসে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ায়। সেদিন সকালে পুরনো ডায়রির পাতা উল্টে দেখছিল চন্দ্র। এক বছর আগে একটা থিয়েটার দেখতে গিয়ে আচমকাই আলাপ হয়েছিল দুজনের। মনে মনে একটা মতলব করে অফিস চলে যায় সে। সন্ধ্যে বেলা আচমকাই 6টার মধ্যে ফিরে আসে বাড়িতে। বাড়ি ভর্তি তখন ছাত্র ছাত্রী। চন্দ্র মতলব করেই গিয়েছিল। চকোলেটের বাক্স খুলে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সবাই কে ছুটি দিয়ে দেয়। সোৎসাহে সবাই ছুটি ছুটি করে বাড়ি ফাঁকা করে দিয়ে চলে যায়। বিন্দু অবাক হয়ে এগিয়ে আসে।

"এটা কি হল?"

চন্দ্র প্রথাগত নিয়ম ভেঙে আচমকাই বিন্দুর কোমর জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয়। তারপর ব্যাগের সাইড চেন থেকে একটা ছোট বাক্স বের করে।

"তুমি সিগারেটের টাকা বাঁচিয়ে বাড়ি কেনার টাকা জমানোর বুদ্ধি দিয়েছিলে মনে আছে?"

"হ্যাঁ। মনে আছে।" চন্দ্রের এমন আচরণে একটু অবাক হয়েছে বিন্দু। কিন্ত খারাপ ও লাগছে না।

"একটা খামের মধ্যে করে গত তিনমাস আমি সিগারেট কেনার টাকা জমিয়েছি। কত টাকা হয়েছে আন্দাজ কর তো?"

"কত আবার হবে? হাজার দুয়েক!"

চন্দ্র যেন খানিকটা হতাশ হল। কাছেই একটা চেয়ারে হতাশ হয়ে বসে পরে বলল।

"আমায় তুমি এত ভালো করে চেনো। আর এইটুকু আন্দাজ করতে পারলে না?"

বিন্দু কাছে এগিয়ে আসে। তাহলে?
 চন্দ্র বিরস মুখে হাতের ছোট্ট বাক্সটা তুলে ধরে। বিন্দু সেইটা হাতে নিয়ে একটা অসম্ভব সম্ভাবনার কথা ভেবে কাঁপতে থাকে। বাক্সটা খুলতেই।

"আংটি? তুমি আমায় আংটি দিলে?"

"কেমন হয়েছে বললে না?"

বিন্দুর গলা কাঁপছে। চরম উত্তেজনায় তার চোখের কোণে জল।

"খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু আংটি?"

"বিয়েটা ভাবছি করেই ফেলি। তোমার সাথে বিবাহের সম্পর্কে লাভ আছে। ক্ষতি নেই।"

বিন্দু হতাশ ভাবে চন্দ্রের কোলেই বসে পরে। চন্দ্র আংটি টা নিয়ে বিন্দুর আঙুলে পরিয়ে দেয়।

"কিন্তু আমরা যে প্রেম করবনা বলেছিলাম?"

"প্রেম করব না বলেই তো বিয়েটা করে নিচ্ছি।"

"কিন্তু!" বিন্দুর চোখে জলের ফোঁটা বড় বড় হয়ে ফুটে ওঠে।

"আবার কিন্তু কিসে?"

"আমি যে। আমি যে তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি।"

চন্দ্র এইবার একটু বিপাকে পরে। কিন্ত সে যেন এই কথার জন্য প্রস্তুত ছিলই।

"একটা কথা বলব শুনবে?"

"কি গো?"

"কানে কানে বলছি শোন।"
বিন্দু কান নিয়ে এগিয়ে আসে। চন্দ্র আসতে স্বরে বলে,
"এই একই সমস্যায় আমিও পড়েছি।" বলেই সম্পূর্ন অযাচিত ভাবে বিন্দুর গালে একটি চুমু খায়।

ব্যাস! আর কি এই ভাবেই চন্দ্রের কোলে বিন্দু কলকাতা শহরের একটি ব্যতিক্রমী জুটিকেও প্রেম বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলল। এইভাবেই আরেকটি প্রেম বিরোধী চিন্তাধারার ওপরেও চন্দ্রবিন্দু বসে গেল।

‌‌‍ঁপাগলাদাশু প্রয়াস

কোন মন্তব্য নেই: