Ragging
Ragging শব্দটি তখনো খুব একটা প্রচলিত শব্দ নয়। কলেজে আসা মানে, বিশেষ করে পলিটেকনিক বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আসা মানে আধুনিক ragging এর থেকে কয়েকশ গুণ বেশি পরিমাণে ছাত্র ছাত্রীদের অত্যাচার করা হত। আমি নিজেই থার্ড ইয়ারে এসে কলজে সব নতুন ছাত্রদের কাছে ত্রাস ছিলাম। কলেজের হোস্টেলের সামনে আমায় দেখতে পেলে কোন জুনিয়ার ভিতরে যাওয়ার সাহস পেত না। যদি তাদের কাছে কোন খাবার থাকতো, তাহলে সেটা ওখানেই দিয়ে যেতে হতো। এখনো আসিফ বলে আমার এক জুনিয়ার আমাকে ভয় পায়। ওর সদ্য কিনে আনা ২কেজি জিলিপি আমি ও আমার দুষ্কর্মের সাথীরা মিলে খেয়ে নিয়েছিলাম।
আমার সঙ্গী সাথী বলতে আমরা চার জন। কল্যাণ, আশিক, ব্রজ মোহন আর আমি সুরজিৎ।
কলেজের হোস্টেলে ফেরার একটা শর্ট কাট রাস্তা ছিল। আমাদের হোস্টেল থেকে প্রায় ৪ কিমি দূরে একটি ছোট চৌক মতন ছিল। নদীর পাড়ে সেখানে প্রতি মঙ্গলবার হাট বসতো। আলুর চপ, মোচার চপ থেকে শুরু করে সিঙ্গারা জিলিপি, পেটাই পরোটা। কি না খাওয়া যেত সেদিন। তো সেরকম এক মঙ্গলবার আমরা চার বন্ধু মিলে হাটে গেছি। যথারীতি নিজেদের মতন করে হাসি মজায় সময় কাটিয়ে সন্ধ্যের পর ফেরার পথ ধরেছি। এবার এখানেই সেই শর্ট কাট রাস্তার গল্প। পাকা রাস্তা ধরে হোস্টেল ফিরতে হলে ৪কিমি পথ। কিন্তু কিছুদূর পাকা রাস্তা ধরে গিয়ে নদীর বাঁধ বরাবর ঢাল দিয়ে নেমে গেলে একটি পুরোনো কবরস্থান। সেখান থেকে সোজা হাঁটলে হোস্টেলের দূরত্ব প্রায় অর্ধেক কমে যায়। প্রথমত রাস্তা নেই এখানে কোনো। দ্বিতীয়ত কবর স্থান বলে সবাই একে এড়িয়ে চলত। কিন্তু আমরা চারজন এই রাস্তা কে বহুবার ব্যবহার করেছি বলে কোন ব্যাপার নয়। তো সেদিন ও দিব্য ফিরছি ওই পথ ধরে। কিছুদূর আসার পর মনে হল কারা যেন আমাদের পিছন পিছন আসছে। ভূত বা ভয় সম্পর্কে আলাপ ছিল না বলে পিছন ফিরে ছায়া মূর্তি দেখতে পেয়েই একটা হাঁক দিলাম। আমার বাজখাঁই গলা শুনে দেখলাম ছায়া মূর্তি সামনে এসে দাঁড়ালো। ফার্স্ট ইয়ারের দুই ছাত্র সুদীপ্ত আর অর্ণব। আমি সবে ধমক দিতে যাবো ওরা কেঁদে ফেলল।
"দেরী হয়ে গিয়েছিল দাদা খেতে খেতে। তাই শেষ বাস মিস করেছি। হাট এর মধ্যে তোমাদের দেখতে পেয়ে ভাবলাম অপেক্ষা করে যাই। তোমরা কিভাবে ফেরো সেই ভাবে ফিরে আসবো। ভুল হয়ে গেছে দাদা।"
কবর স্থানে আর হুজ্জুতি করলাম না। কিন্তু এদের দুজনকে রোগড়ানোর একটা ইচ্ছে আপনার মনে খেলা করতে শুরু করে দিয়েছে তখন। কবর স্থান প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, এমন সময় সুদীপ্ত নামের জুনিয়ার বললে।
"তোমরা এগোতে থাকো। আমি একটু বাথরুম করে আসছি। খুব চাপ এসে গেছে।"
সুদীপ্তর বন্ধু ওকে বাধা দিতে গিয়েছিল, কিন্তু আমার মনে ততক্ষণে যা বুদ্ধি খেলার শুরু হয়ে গেছে।
আমরা ধিমি তালে একটু একটু করে এগিয়ে গেছি। সুদীপ্ত একটা গাছের আড়ালে গিয়ে নিজের কাজ সেরে দৌড় দিয়ে এসে আমাদের সাথে যোগ দিলো। হোস্টেল অব্দি কোনো কথা বলিনি। হোস্টেলে ঢোকার ঠিক আগে সুদীপ্ত কে বললাম,
"আচ্ছা!! তুই যেখানে হিসু করলি। সেখানে কোনো কবর ছিল না তো??"
"কবর? কই না তো! দেখিনি তো।"
"দেখিস বাবা। এসব হলো গোড়া সাহেবদের কবর। এদের কবরে দাড়িয়ে বাথরুম করলে নাকি শুনেছি বাথরুম আটকে যায়।"
কল্যাণ আর আশিক আমার মতলবটা ধরে ফেলেছিল। তারাও সুরে সুর যোগ দিলো। মোট কথা একজনের মাথায় ভয় ঢোকানোর জন্যে যে টুকু অভিনয় প্রয়োজন তার কিছুই বাদ দিলাম না। সুদীপ্ত আর অর্ণব কে ভালো করে বুঝিয়ে দিলাম যে এই কথা যেন রাষ্ট্র না হয়। হিন্দুর ছেলে হয়ে খ্রিস্টানদের কবরে গিয়ে বাথরুম করে এসেছে, এমন খবর লোকে জানতে পারলে কুরুক্ষেত্র হয়ে যাবে। দুই জুনিয়ার এর মাথায় বেশ করে বীজমন্ত্র রোপন করে আমরা যে যার হোস্টেলে ফিরে এলাম।
কিছু কিছু ঘটনা সত্যি হয়ে যায় নাকি আমাদের মানসিকতায় জিনিসটা সত্যি রূপ নেয়ে তা জানিনা। কিন্তু সত্যি সত্যি সুদীপ্তর সেই রাত থেকে আর বাথরুম হয়নি। পরেরদিন দুপুর থেকে তার পেট ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। কল্যাণ হেসে ফেলে সত্যি কথা বলে ফেলেছিল প্রায়, কিন্তু আমি বাধা দিলাম। এইটুকু বুঝেছিলাম যে ভয় পাওয়ার কারণে সুদীপ্তর এই দশা। কিন্তু ডাক্তার বদ্যি করার বদলে আমার মনে হলো সেই "ভয়ের উপর আরেকটি ভ প্রয়োগের" কথা। তো যেমন ভাবা তেমন কাজ। অনেক ভেবে মনে করার চেষ্টা করছি এমন অভিনয় করলাম খানিক। তারপরে মনে পরে গেছে এমন একটা ভান করে বললাম।
"আমি এক সাহেবের মুখে এই ঘটনার কথা শুনেই কাল অমন বললাম। আসলে আগে মনে পরলে আগেই বলে দিতাম ভাই। কিন্তু কি জানি কেন একটা শঙ্কা কাজ করলেও তোকে আটকানোর কোনো যুক্তি না বুঝে আমি আর বলিনি।"
"এবার আমার কি হবে দাদা? আমি কি মরে যাবো তবে?? আমার যে খুব পেট ব্যথা করছে।"
সুদীপ্ত প্রায় কেঁদে ফেলে।
"তুই জল খেয়েচিস আজ সারাদিন?"
"হ্যাঁ দাদা খেয়েছি। কিন্তু খুব অল্প।"
"বেশ! আজ ঠিক রাত সাড়ে দশটা নাগাদ খাওয়া দাওয়া সেরে নিয়ে বেশ খানিকটা জল খাবি। তারপর হোস্টেলের বাইরে অপেক্ষা করবি। তোকে জ্যান্ত কবর দিতে হবে"
"কি বলছ কি?" সুদীপ্ত প্রায় সেখানেই অজ্ঞান হয়। আমি তাকে আশ্বাস দিয়ে বললুম,
"আরে না না। স্রেফ গলা অব্দি কবর দেবো। এটা সেই সাহেবের থেকেই শেখা। অর্ধেক কবর দিলেই যে মাটি তে তুই বাথরুম করেছিস। সেই জমি তোকে ক্ষমা করে দেবে। আর তুই আবার সব ঠিক ভাবে করতে পারবি।"
কল্যাণ আর আশিক অবাক হয়ে আমার কথা গুলো গিলে গেল। জীবনের শেষ বয়সে এসে যখন কলেজের দিন গুলো মনে পড়ত। আমি নিজেও অবাক হতাম এইসব বুদ্ধি আসতো কি করে ভেবে।
তো যা হোক সন্ধ্যে থাকতে থাকতে আমি আর কল্যাণ গিয়ে কবরস্থান ঘুরে এলাম। কোনো পাহারাদার বা কেউ থাকলে তাকে আগে হাত করতে হবে। আচমকা অমন জ্যান্ত মানুষ কবর দিতে দেখলে থানা পুলিশ হবেই। কাজেই সব সামলে নেওয়া ভালো। অনেক খুঁজেও কোনো লোককে দেখতে না পেয়ে আমরা কবরস্থান টা একবার পরীক্ষা করে দেখলাম। নদীর পাড়ের দিকে, অর্থাৎ পশ্চিম দিকের প্রান্তে দেখলাম দুটো কবর যেন খোড়া আছে। হয়ত আগে থেকে খুড়ে রেখে দেওয়া হয়। সেটা আর পরীক্ষা করে না দেখে মোটামুটি দুজন একটা ছক কষে ঘটনার যাবতীয় সব ব্যবস্থা ভেবে রাখলাম। আসল উদ্দেশ্য ছিল, সুদীপ্ত ভয় পেয়ে এমন হয়েছে। আরেকবার একটু ভালো রকম ভয় দেখালে সব ঠিক হয়ে যাবে। এই ভেবে গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করা।
দেখতে দেখতে রাত নেমে এলো। সুদীপ্ত তখন পেট ব্যথায় চঞ্চল হয়ে গেছে। পূর্ণিমা আসতে এখনো দুদিন।কিন্তু আকাশে চাঁদের আলো বেশ পরিষ্কার। অতএব কাজ করতে অসুবিধা হবে না। টর্চ, দরি, বড়ো দুটো লাঠি আর এক বোতল জল সঙ্গে করে আমরা রওনা দিলাম। সুদীপ্ত যে এমন ভাবে আমাদের কথায় সায় দিয়ে যাবে, সত্যি বলতে আমরাও ভাবিনি। কিন্তু বেটা এতই ভয় পাচ্ছে যে, যা বলেছি করে গেছে। সন্ধ্যে বেলা নির্দিষ্ট করে যাওয়া দুটো কবরের কাছে এসে পৌঁছলাম। ব্রজমোহন কুস্তি করে। কাজেই তার অনেক জোর বলে আগে তাকেই কবরে নামিয়ে দেওয়া হলো। একটা কবরের যে এতটা গভীরতা হয় চোখে দেখলে আন্দাজ পাওয়া যায়না। ব্রজমোহন এর প্রায় কাঁধ অব্দি গভীর কবর। মানে প্রায় এক মানুষ। পাছে ভয় পেয়ে সুদীপ্ত কান্না কটি করে তাই আগেই ওকে বুঝিয়ে বলেছিলাম মুখ বেঁধে দেওয়ার কথা। করাও হলো তাই। পাছে ছটফট না করে তাই দরি দিয়ে হাত পা বাধা হলো। আমি, কল্যাণ আর আশিক মিলে আস্তে আস্তে সুদীপ্তর হাত পা বাঁধা শরীরটা কে নামিয়ে দিলাম। ব্রজমোহন কবরের মধ্যে সুদীপ্ত কে ঠিক ভাবে রাখার চেষ্টা করছিল, যাতে গলা অব্দি ওকে কবর দেওয়া যায়। কিন্তু হঠাৎ আকাশ কালো করে মেঘ ঢেকে ফেলল। চারদিকে যেন প্রলয়ের মতন ঝড় ঝঞ্ঝা ধেয়ে এলো। বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটায় নিমেষে আমরা সবাই কাক ভেজা ভিজে গেলাম। হঠাৎ আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে সব ব্যবস্থা ভুলে সুদীপ্ত কে তুলে নিয়ে হাসপাতাল যাবো কিনা ভাবছি। এমন সময় ব্রজমোহন স্থবির এর মতন হয়ে গেল।
ব্রজমোহন কবরের বাইরে থেকে মাটি নিয়ে সুদীপ্তর হেলান দিয়ে দারানোর মতন একটা ব্যাবস্থা করছিল। কিন্তু হঠাৎ তার থেমে যাওয়ায় আমরাও ঘাবড়ে গেলাম। সুদীপ্ত মুখ বাধা অবস্থায় চিৎকার শুরু করলো। বুঝলাম তার দৃষ্টিও ব্রজমোহন যেদিকে তাকিয়ে আছে সেখানে। আমরা ভেবেছিলাম পুলিশ এসেছে বোধহয়। কিন্তু পিছন ফিরে সেই বৃষ্টির রাতে যে দৃশ্য দেখলাম তার জন্য কেউ কোনদিন প্রস্তুত থাকে না। আমাদের থেকে ঠিক বিশ হাত দূরে একটা কবরের ওপর কেউ যেন বসে আছে আর স্থির দৃষ্টিতে আমাদের কাজ দেখছে। একেই এমন প্রবল বৃষ্টি তার মধ্যে অন্ধকার সব যেন ঝাপসা। আশিক কিছু না বুঝেই সেদিকে টর্চ ফেলতেই দেখলাম একটা মড়া। তার ঘোলাটে আধ বোঝা চোখে আমাদের দিকে দেখছে। বৃষ্টির তেজ যেন ক্রমে আরো বেড়ে গেল। গ্রাম বাংলায় এমন ঝড় যেন বহুযুগ পরে আবার ফিরে এসেছে। কবর স্থানের গাছ গুলো হওয়ার বেগে নুইয়ে পরছে। এমন সময় একটা বাজ পরলো কোথাও যেন। সেই আলোয় দেখলাম মরাটা যেন নরে উঠলো। সেই বিভৎস দৃশ্য দেখে আশিকের হাত থেকে টর্চ পরে গেল। একটা মৃত দেহের মধ্যে এত প্রাণ সঞ্চার কিভাবে হলো!! ব্যাপারটা যেন হজম হচ্ছিলো না। মৃত দেহ তো মৃত দেহই। তার থেকে ভয় কিসের। আমি আর একটু এগিয়ে দেখতে যাবো এমন সময় বেশ কিছু বিদ্যুতের আলো ঝিলিক দিয়ে গেল। আর সেই আলোয় যে দৃশ্য দেখলাম, সে আমার সারা জীবন মনে থাকবে। মৃত দেহটা যেন দুপাশে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে নিজেকে কবর থেকে তোলার চেষ্টা করছে। ধরফর করে পিছনে একটা আওয়াজ শুনে তাকিয়ে দেখি ব্রজমোহন সুদীপ্ত কে এমনি ফেলে দিয়েই কবর থেকে উঠে দৌড় দিয়েছে। ব্রজর সাথে সাথে কল্যাণ ও তাই। সুদীপ্ত কবরের মধ্যে পরে গোঙাতে শুরু করেছে। তৃতীয় বার যখন দেখলাম মড়াটা প্রায় আরো খানিকটা উঠে এলো। আমি পিছিয়ে যেতে শুরু করলাম। আশিক ও নিজের হাতের লাঠি ফেলে দৌড় দেওয়ার কথা ভাবছে। পাঁচ সেকেন্ড ও যেন তখন পাঁচ ঘণ্টা। সুদীপ্তর কবরের কাছে পৌঁছে ওকে তুলবো কিনা ভাবছি আরেকটা বিদ্যুৎ ঝলক। আর তার সাপেক্ষে দৃশ্য দেখে আমাদের আর সাহসের সঞ্চয় রইলো না। স্পষ্ট দেখলাম মড়াটা নিজের শরীর কে অনেক টাই কবর থেকে বের করে এনেছে। আর তার মাথাটা দুলছে। ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে দাঁতের ঝিলিক আসছে। আমাদের ভয় দেখিয়ে তার যেন ভারী আমোদ হয়েছে। সেই হাসি দেখে আশিকের আর সাহস ছিল না। হোস্টেল মুখো দৌড় লাগালো সে। আর আমি ঝাঁপ দিলাম সুদীপ্তর কবরে।
অনেকে বলে, কবর স্থানে ভয় পেলে কোনো একটা কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। তাহলে কোনো ক্ষতি হয় না। আমার পাশে তো একটা আস্ত কবর রয়েইছে। কাজেই দিলাম ঝাঁপ। আশিক বোধহয় ভেবেছিলো আমিও দৌড় দেবো। কিন্তু আমাকে না দেখতে পেয়ে সে বেচারা আরো ভয় খেয়ে গেছে। কিছুদূর গিয়ে তার লজ্জা বোধ হতে শুরু করায় আবার ফিরে আসে। আমি ততক্ষণে সুদীপ্তর পায়ের বাধন খুলে দিয়েছি। আশিক আসতেই আমাদের দুজন কে টেনে তুললো। তারপর সেই যে দৌড় দিয়েছিলাম। আর মনে নেই।
পরের দিন সকালবেলা শুনলাম সুদীপ্ত ভালো আছে। কবর থেকে উঠে আসা মড়া দেখেই তার যা বাথরুম হওয়ার প্যান্টে হয়ে গিয়েছিলো। তারপর থেকে আর অসুবিধা হয়নি। ব্রজমোহন বৃষ্টি ভেজার জন্যে সর্দি বাধিয়েছে। আর আশিকের হাঁটু কেটে গেছে। খুব অল্প ক্ষতির মধ্যে দিয়েই আমাদের কবরস্থানের ঝঞ্ঝাট মিটে গেল। এর পরে অবশ্য আমি আর সেই অর্থে ragging করিনি। সেকেন্ড ইয়ারে উঠে সুদীপ্ত ও আমাদের ragging দলে যোগ দিয়েছিল। আসলে সেদিনের পর থেকে সে আমাদের বেশ প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছিল। বেচারা অমন চুপটি করে না থাকলে এমন অভিজ্ঞতা হতো না। এর পরেও আমি অবশ্য ভূতের ভয় দেখিয়েছি। এমনকি এখনো দেখাই অনেক কে। কিন্তু সেই রাতের মতন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার দূরভিসন্ধি কোনদিন আর হয় নি।
(C) পাগলা দাশু।
পরে খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছিলাম। অনেক সময় সদ্য কবর দেওয়া মড়া কে শেয়াল কুকুরে মাটি থেকে তুলে আনে। মাটি আলগা থাকে বলে এই কাজে তাদের অসুবিধা হয় না। বৃষ্টি হলে মাটি আরো আলগা হয়ে যায়। ব্যাস! এতেই পোয়া বারো। অন্ধকারে ঠিক দেখতে পাওয়া যায়নি বলে। নইলে নিশ্চই সেই মড়ার ঘেঁটি ধরে শেঁয়াল টানছিলো। আর সেই দৃশ্য দেখেই আমাদের...............
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন