DENTAL লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
DENTAL লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০

An era of reusable N95 masks......Really??

সত্যি কি N 95 mask দ্বিতীয়বার ব্যবহারের উপযুক্ত???


কিভাবে একটা N 95 mask কে দ্বিতীয়বার ব্যবহারের উপযুক্ত করে নেওয়া যায়। সঠিক N 95 mask না পাওয়া গেলে কোন কোন mask উপযুক্ত। জেনে নিন সঠিক তথ্য।


COVID-19 পরবর্তী পরিস্থিতি গোটা বিশ্বের ডাক্তারি পরিসেবা কে একটা বড় প্রশ্নের সম্মুখীন করে দিয়েছে। 

আদৌ কি আমরা প্রস্তুত এত বড় একটা মহমারী কে সামাল দিতে??

প্রতিদিন সারা বিশ্বে এই মহামারীর শিকার হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রায় তিন লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। আর প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সহযোদ্ধা বহু ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মী। 

এই মৃত্যু কি নেহাতই একটা মহামারীর ফলশ্রুতি নাকি কোথাও গিয়ে ডাক্তারি পরিষেবার গাফিলতি?? খানিকটা হলেও প্রশ্নচিহ্ন থেকে যায়। 

এই বিশ্ব ব্যাপী মহামারী যে চিকিৎসা বিষয়ে পরিকাঠামোগত অভাব চোখের সামনে তুলে ধরেছে তার প্রমাণ আর নতুন করে কিছু দেওয়ার নেই। 

এই যুদ্ধের পরিণতিতে হার স্বীকার করে ইতিমধ্যে NIOSH এবং OSHA, অনুমোদন না পাওয়া কোম্পানির ঘর থেকে তৈরি করা N95 মাস্ক ব্যবহারের কথা বলছেন। 

শর্ত সাপেক্ষে এই নতুন N 95 মাস্ক ব্যবহার করার কিছু নিয়ম তারা দিয়েছেন। এই নিয়মগুলি সামগ্রিক ভাবে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) Extended use protocols, অর্থাৎ ব্যবহারের সময়সীমা বর্ধিত করার অনুমোদন।

২) Reuse Protocols অর্থাৎ একটি মাস্ক এক কালীন ব্যবহার করে না ফেলে দিয়ে অনেকবার যাতে ব্যবহার করা যায় সেই নিয়মাবলী।



ভাইরাস কে আদৌ মারা সম্ভব??

হার্ভার্ড কলেজের অধ্যাপক মাইকেল মিনা বলেছেন, নিশ্চই একটি ভাইরাস কে মেরে ফেলা যায়। এবং সেই পদ্ধতি খুব একটা জটিল কিছুই না যদি ভাইরাস টি মানব দেহের বাইরে অবস্থান করে। "The simplest way is to take a mask and let it sit out for two weeks."

T.H Chan ও তাঁর বক্তব্য তে একই কথা বলেছেন। "We all know the virus tends to die out after ten days or so."

কি কি পদ্ধতিতে ভাইরাস কে মেরে ফেলা সম্ভব??

1) Irradiation
2) Fumigation
3) Hot water
4) Steam
5) Baking or Dry Heat

এই প্রত্যেকটি পদ্ধতি ভাইরাস কে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার জন্যে নিজেদের যথার্থতা প্রমাণ করেছে। 

কিন্তু একটি decontamination পদ্ধতিকে তখনই স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব যখন সেটা ব্যবহৃত মাস্কটির কোন রকম গঠনগত পরিবর্তন না করে একদম নতুন এর মতন ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। 

3M কোম্পানি তাদের তরফ থেকে মোট চারটি শর্ত দিয়েছেন একটি decontamination পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যে।

১) Decontamination করার পরেও মাস্কটি যেন SARS CoV 2 ভাইরাসের বিরুদ্ধে সমান কার্যকরী থাকে।

২) মাস্কের filter গুলোর কোন রকম ক্ষতি হবেনা এই পদ্ধতিতে

৩) একজন ব্যবহারকারীর মুখে দ্বিতীয়বার মাস্কটি বসানোর সময় যেন কোন রকম ফাঁক বা অসামঞ্জস্য না থাকে।

৪) ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের যেন কোন ক্ষতিসাধন না করে।



UltraViolet ray decontamination

Nebraska বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল প্রমাণ করে দিয়েছেন যে একটি ব্যবহৃত N 95 মাস্ক কে বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা কক্ষের মধ্যে UV-c লাইট এর সাহায্যে মাত্র ১৫ মিনিটে sterilize করে আবার ব্যবহারের উপযোগী করে নেওয়া যায়। 



Fumigation decontamination

Duke বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা একটি সম্পূর্ণ isolated কক্ষের মধ্যে 300-750 ppm হাইড্রোজেন পারক্সাইড বাষ্পের সাহায্যে মাত্র ২০ মিনিটে ব্যবহৃত N 95 মাস্ক কে পুনরায় ব্যবহারের উপযুক্ত করে দেখিয়েছেন। 

এই পদ্ধতির একটি খারাপ দিক হলো সময় সাপেক্ষ। একবার হাইড্রোজেন পারস্কাইড ব্যবহারের পরে অন্তত ৪ ঘন্টা সময় দিতে হয় শুধুমাত্র ঘর থেকে ওই বাষ্প কে নিষ্ক্রিয় করার জন্যে। 


এই সব পদ্ধতি বড় বড় হাসপাতাল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব হলেও ছোট চেম্বার বা দাঁতের ডাক্তারখানা তে সম্ভব নয়। অনেকের চেম্বারে হয়ত সম্ভব কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্ভব নয় বললেই চলে।



Hot water heating or Steam

February'2020 তে বেজিং এর একটি স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবহৃত মাস্ক কে দ্বিতীয়বার ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার একটি আর্থিক ভাবে সম্ভব এবং সরল উপায় আবিষ্কার করেন। এই পদ্ধতি কে ওনারা "regeneration treatment" নাম দিলেন।

মাত্র ৩ টি পদক্ষেপ এই কাজ করা সম্ভব।

৫৬⁰ C উষ্ণতার গরম জলের মধ্যে একটি ব্যবহৃত মাস্ক কে ৩০ মিনিটের জন্যে সম্পূর্ণ ডুবিয়ে রাখতে হবে।

তারপর একটি non static hair dryer দিয়ে মাস্কটি কে শুকিয়ে নিতে হবে প্রায় ১০ মিনিটের জন্যে।

এই পদ্ধতি অবলম্বন করে মাস্কটি decontaminate করা সম্ভব। কিন্তু মাস্কটি নিজের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। এই পরীক্ষা করে দেখার জন্যে কতগুলি কাগজের টুকরো মাস্ক এর সামনে রেখে দিলে স্থির তড়িৎ এর আকর্ষণে সেই কাগজের টুকরো আবার মাস্ক এর সাথে লেগে যাবে। 

গরম জলের এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখা গেছে মাত্র একবারের জন্যেই মাস্কটি দ্বিতীয় বার ব্যবহার করার উপযোগী থাকে। তার পরে আর একটা decontaminate করলেও তার কার্যক্ষমতা চলে যায়।

মার্চ ২০২০ তে চীন দেশের স্বাস্থ্য দপ্তর একটি ব্যবহৃত mask কে  autoclave করে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার অনুমতি দেন। পরীক্ষা করে দেখা গেছে autoclave করলে সত্যি মাস্কটি কে ভাইরাস মুক্ত করা সম্ভব। এই আবিষ্কারের পর CDC ও সমর্থন করেছেন। 

Baking

Stanford বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিজ্ঞানী আবিষ্কার করলেন যে baking বা dry heat এর মাধ্যমে একটি মাস্ক কে ৭⁰ C ৩০ মিনিটের জন্যে রেখে দিলে মাস্কটি কে সম্পূর্ণ রূপে ভাইরাস মুক্ত করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে তাপমাত্রা ও সময়ের দিকে খেয়াল রাখা আবশ্যিক কারণ একটুও ভুলের জন্যে মাস্কটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


Comparison

 Methods    Process        Time Efficacy    Cycles 
 UV-C           Decontamination under UVGI 15 mins 90%<10 decontamination     
 Fumigation    300-750ppm HPV 20 mins 90% 20 decontamination
 Boiling heat    56⁰ C water, 30 mins 80% 1-2 decontamination 
 Steam heat       Autoclaving at 121⁰ C,  30 mins    80%     1-2 decontamination 
 BakingHeating in 75-100⁰ C    30 mins 80% 20 decontamination 




ফলাফল

অতিবেগুনী রশ্মির প্রয়োগে একটি N 95 মাস্ক কে সম্পূর্ণ রূপে ভাইরাস মুক্ত করা গেলেও কিছু কিছু বিজ্ঞানী মহল এখনো এর কার্যকারীতা সম্পর্কে সন্দেহ রাখেন। প্রথমত একটি মাস্ক ত্রিমাত্রিক বস্তু হওয়ার কারণে অতিবেগুনী রশ্মির সব দিক থেকে একে decontaminate করা সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখাও গেছে যেখানে অতিবেগুনী রশ্মি পৌঁছাতে পারেনি সেখানে ভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে। 

হাইড্রোজেন পরক্সাইড এর ব্যবহার এ দেখা গেছে এই পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো কাজ করে এবং প্রায় ২০ বার অব্দি decontaminate করলেও মাস্ক এর কাঠামোগত কোন পরিবর্তন হয়না। 

গরম জলে ফুটিয়ে নেওয়া বা autoclave পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো কার্যকর হলেও এই পদ্ধতিকে অবলম্বনের জন্যে অনুমোদন দেওয়া যায়না। তার প্রথম কারণ একবার গরম জলে ফুটিয়ে নেওয়ার পরে একটি মাস্ক এর কার্যক্ষমতা ৯৫% থেকে ৮০% নেমে আসে। আর ৮০% কার্যক্ষমতা যুক্ত একটি মাস্ক কে কখনো N-95 বলা চলে না।

সব থেকে সস্তার ও ভালো পদ্ধতি হলো dry heat sterilization। একটি মাস্ক কে ২০-৩০ বার পর্যন্ত dry heat এর মাধ্যমে ভাইরাস মুক্ত করা সম্ভব। কিন্তু এই পদ্ধতির জটিলতা এবং একটু ভুল হলেই মাস্কটি খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্যে একেও অনুমোদন দেওয়া যায়নি। 

২৯সে মার্চ ২০২০, FdA থেকে HPV বাষ্প দিয়ে মাস্ক কে decontaminate করার পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। 

যদিও 3M কোম্পানি থেকে এই পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে কোন তথ্য এখনো অব্দি জানায়নি। কোম্পানির তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে এই প্রত্যেকটি পদ্ধতি যেহেতু মাস্ক এর filter গুলির ওপর কিছু না কিছু হলেও প্রভাব ফেলে তাই N 95 মাস্ক যে দ্বিতীয়বার ব্যবহারের উপযুক্ত সে কথায় তাদের তরফে অনুমতি নেই। 

মাস্ক এর উৎপাদন এবং ব্যবহারের নথি।

একটি সমীক্ষা করে দেখা গেল। 3M কোম্পানি একাই  বছরে প্রায় ৫০ কোটি মাস্ক  উৎপাদন করতে সক্ষম। এই বছরের এরকম মহামারীর সময় তারা নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ করার চেষ্টায় রয়েছে। এপ্রিল মাসের শেষ নথি অনুযায়ী 3M কোম্পানি প্রায় ৬০ কোটি মাস্ক ইতিমধ্যে প্রস্তুত করেছে। কিন্তু কোভিড আক্রান্ত দেশগুলির প্রায় ৩২০ কোটি জনসংখ্যার সাপেক্ষে এই উৎপাদন চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আর এখানেই বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ে আধিকারিক সংস্থাগুলি বিকল্প রাস্তা নেওয়ার জন্যে অনুমোদন দিয়েছে।


একটি মাস্ক কে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করায় কি কি অসুবিধা হতে পারে??

>ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য থাকে না।

>মাস্কটি ঠিকঠাক মুখের সাথে বসতে চায় না।

>কার্যক্ষমতা কমে যায়।

>রুগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তারের নিজের সংক্রামিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।


N 95 এর বিকল্প কি কি আছে??

N 95 মাস্ক এর বিকল্প কিছু নেই। কিন্তু আংশিক ভাবে ব্যবহারের উপযুক্ত কিছু মাস্ক N 95 মাস্ক এর সমতুল কাজ করতে পারে। 


কখন একটি N 95 মাস্ক কে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যাবে আর কখনই বা ফেলে দিতে হবে??

NIOSH এর বলে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী

* একটি মাস্কের গায়ে যখন রক্ত, কফ, থুতু বা এই জাতীয় কিছু লেগে যায়। মাস্কটি বাতিল করা উচিৎ।

* যে কোন aerosol generaring procedure করলে মাস্কটি অবশ্যই বাতিল করে দিতে হবে।

* একটি surgical মাস্ক বা face shield এর ব্যবহারের মাধ্যমে N 95 মাস্ক কে আড়াল করলে তার গায়ে রক্ত বা থুতু সরাসরি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। 

* একটি মাস্ক কে দিনে একাধিক বার ব্যবহারের জন্যে তাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে না একটি কাগজের খাম অথবা পাত্রের মধ্যে রেখে দিতে হবে।

* ব্যবহার করা পাত্রটি অবশ্যই বাতিল করতে হবে আর নয়ত ভালোভাবে sterilize করে নিতে হবে।

* মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা আবশ্যিক। 

* দ্বিতীয়বার ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই মাস্ক এর fit test করে নিতে হবে। 

এই একই নিয়মাবলী OSHA এর তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে।


কিছু গবেষণার ফলাফল

১) প্রায় ৪৮% মাস্ক একবার ব্যবহারের পরে আর দ্বিতীয়বার কাজে আসেনা। কিছু না কিছু কারণে সেটি বাতিল করতেই হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর ভুলের জন্যে একটি মাস্ক কে বাতিল করে দিতে হয়।

২) একটি মাস্ক যদি কোন রোগীর হাঁচি বা কাশির থেকে নোংরা হয়ে যায় তাকে অবশ্যই নিয়ম মেনে বাতিল করে দেওয়া উচিত।

৩) একজন COVID-19 রুগীর সামনে ব্যবহার করা মাস্ক কোন ভাবেই দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। সঠিক sterilization পদ্ধতি ব্যবহারের উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকলে সেই মাস্ক এর ব্যবহার ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীকে সংক্রামিত করে দিতে পারে।

৪) নির্দিষ্ট solution ছাড়া অন্য কোন রকম antimicrobial solution ব্যবহার করে mask কে পরিষ্কার করা উচিৎ নয়।

৫) UVGI এর ব্যবহারে একটি মাস্ক কে sterilize করা সম্ভব। কিন্তু N 95 মাস্ক এর কোম্পানির বিবর দেখে তবেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। UV ray এর প্রভাবে মাস্ক এর কোন উপাদান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কিছু অনুমোদন প্রাপ্ত N 95 মাস্ক এর বিকল্প।

1) NIOSH - N95 - 42CFR84

2) FFP2 EN149-2001

3) KN95 GB2626-2006

4) P2 AS/NZ 1716/2012
5) Korea 1st Class KOMEL-2017-64

6) Japan DS2 JMHLW 214-2018


Top 10 N-95 manufacturers in 2020

3M        -        Honeywell         -         Kimberly Clark Corp.

Ambu    -        BD                    -         Prestige Ameritech

Alpha Pro Tech        -         Louis M. Gerson Company

Teleflex        -            Moldex

Shanghai Dashend         -        Future trends


How to check a Proper N-95

1) Check the approval authority. An original mask must have a NIOSH logo
2) Check the model number and correlate with Google
3) Check for the TC-approval number
4) Check for the Lot number



  Presented by Dr. Arka Bhattacharya
 


Infromations from

ECRI Clinnical evidence assessment
FDA N-95 respirators and surgical masks
Strategies for optimizing supply of N-95 respirators
FDA, understanding the difference
PubMed
3M website and brochure 
Duke University data access
CDC.gov 

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০২০

COVID situation and Dentistry

আরও কয়েক মাসের বেকারত্ব??


প্রায় দু মাসের ওপর কাজ নেই। নিয়ম মেনে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের চেন ভাঙতে স্বেচ্ছায় কর্মহীন দশা। শুধু আমি নয়। হিসেব করে দেখলাম আমার মতই কর্মহীন আরো বহু। সারা বিশ্বে অনেক দাঁতের ডাক্তার শুধু মাত্র ভাইরাস সংক্রমন বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এই বিরতি নিয়েছিল। কিন্তু ফলশ্রুতি হলো শূন্য। এখন সত্যি আফসোস হয় আগেই সব বন্ধ না করে কাজ করে গেলে এখন বিরতি নেওয়া যেত।সংক্রামিত পরিসংখ্যান এখন ১ লক্ষ ৩২ হাজার। উপসর্গ হীন রোগের বাহকদের কথা তো ছেড়েই দিলাম। সরকার থেকে এখন অনুমতি আসছে ডাক্তাররা চাইলে চেম্বার খুলতে পারেন। আরে মশাই এখন তো বিপদ চোখের সামনেই রয়েছে। কোন নিশ্চয়তা নেই কে যে সংক্রমনের বাহক।

তো কি হয়েছে? তুমি ডাক্তার। রোগ কে তুমি ভয় পাবে?

আরে ধুর মশাই ডাক্তার। এই ডাক্তারিতে একটা কথা আছে। "The goal of medicine is to see its own end and not to create more diseases."

রোগের বিরুদ্ধে সাহস দেখিয়ে চেম্বার খুলে চিকিৎসা করলাম। শেষে নিজেই একজন উপসর্গ হীন বাহক হয়ে আরো চার পাঁচ জন রুগীকে সংক্রমিত করে দিলাম। আজ না হোক কাল সে কথা ধরা পরবেই। তখন নিজের কাছে নিজেই ছোট হয়ে যাবো। এতটাও সরল সোজা রোগ নয় এই করোনা ভাইরাস। ভগবান না করুক কোনদিন, হয়ত আমার নির্বুদ্ধিতায় একজন বৃদ্ধ রুগী সংক্রমিত হয়ে গেলেন চেম্বার থেকে। একই সাথে তাঁকে ও তাঁর পরিবার কে আমি বিপদের দিকে ঠেলে দিলাম। এই বিবেক দংশনের থেকে আমার বেকারত্ব ভালো। দেশে করোনা সংক্রমনের হার এখন ঊর্ধ্বমুখী। কোন বাছ বিচার ছাড়া মানুষ জন একেবারে সাধারন দিনের মতন জীবন কাটাচ্ছে। এতগুলো লোকের চাকরি গেল। এত মানুষের দোকান বন্ধ, মাইনে পাচ্ছে না। দরকারি চিকিৎসার সামগ্রী নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই। এত গুলো লোকের এতটা আত্মত্যাগ পুরোটাই বিফল? একেবারেই বিফল?

এত ভয় পাচ্ছ কেন ভায়া। সরকার থেকে তো নিয়ম বাৎলে দিয়েছে?

নিয়ম?? পড়ে দেখেছেন সেই নিয়ম? ওরে বাবা মানতে গেলে তো আবার সেই নতুন করে চেম্বার শুরুর খরচ। আর নিয়মের কি কোনো স্থিরতা আছে? নিত্য দিন তো সে বদলে চলেছে। ইতিমধ্যে একগাদা টাকা খরচ করে যে সব সামগ্রী কিনলাম। পরের দিন আরেকটা নোটিশে দেখছি ওই দিয়ে কোনো লাভ নেই। তার উপরে আরো কিছু সংযোজন হয়েছে। নিয়মে বলছে চেম্বারের ভিতর দূষিত বাতাস পরিশোধনের যন্ত্র লাগবে। এক একটা যন্ত্রের দাম ৪০-৬০ হাজার টাকা। এই বাজারে এতগুলো টাকা খরচ করে আপনি ভাবছেন বেশ নিশ্চিন্তে এবার চেম্বার করবেন? আরে দাড়ান মশাই কোম্পানির কাগজে একবার চোখ বুলিয়ে দেখুন। সেখানে স্পষ্ট লিখেছে এই যন্ত্র বাতাস থেকে দূষিত কণা শোষণ করে নিলেও তাকে রহিত করতে পারেনা। আর এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই যে সেই যন্ত্র থেকে দূষিত কণা আবার বাতাসে ফিরে আসবে না। এ আমি পড়াশোনা করেই বলছি না জেনে নয়।

হে হে! তাহলে উপায়? উপায় আছে তো! ওই যন্ত্রের মধ্যে থেকে বেরোনো বাতাস যাতে সংক্রমন বয়ে না আনে তাই জন্যে এই যে; আরেকটি যন্ত্র! এর মাধ্যমে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। চেম্বার তো নয় পুরো যন্তর মন্তর। দালাল যে, তার তো বিক্রী নিয়ে কথা। ডাক্তার বা রুগী বিপদে পরলো কি না পরলো থোড়াই কেয়াড়!

তো ডাক্তারবাবু কিনেই ফেলুন না? কাজ তো করতেই হবে।
নিশ্চই!! একদিন না একদিন তো ফিরতেই হবে। কিন্তু আমার এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এত টাকা খরচের ভরপাই করবে কে? সেই তো আপনাকেই করতে হবে। হিসেব করে দেখলাম সব নিয়ম মেনে চললে, শুধু মাত্র রুগী দেখে ওষুধ দেওয়ার জন্যেই প্রায় ৩৭৪ টাকা খরচ। দেবেন তো এক ধাক্কায় ৪০০ টাকা ভিজিট? বলবেন না তো,  "পাড়ার মধ্যে ওইটুকু একটা চেম্বার তাতে ভিজিট ৪০০টাকা? "

এবার আসি তাহলে কাজের কথায়। আরে মশাই যা নিয়মের বহর তাতে একটা নড়বড়ে দাঁত তুলতেই কম বেশি ৬০০ টাকার জিনিস লাগবে। তাহলে ডাক্তারের পারিশ্রমিক? এত যন্ত্রপাতির দাম? ইলেকট্রিক বিল? ডাক্তারি বর্জ্য পদার্থ সঠিক ভাবে নিয়ে যাবে যে তাদের খরচ?? নতুন যে এত সব জিনিস এলো তাদের দাম?
হিসেব করতে করতে কোন সময় যে ১০০০ টাকায় পৌঁছে যাবেন বুঝতেই পারবেন না।

ডাক্তার টা একটা নির্লজ্জ। এই বাজারে সুযোগ বুঝে একটা নড়ে যাওয়া দাঁত তুলে হাজার টাকা নিয়ে নিল। 

হে হে! বদনাম হওয়ার এর থেকে ভালো কোন উপায় আছে? তার চাইতে আমি ভীতু ডাক্তার ভালো। দাম কমানোর জন্যে নিয়মের গাফিলতি করে নিজেকে ও আমার রুগীদের বিপদে ফেলতে চাইনা।

এতো ভেবে কোন লাভ আছে? যাদের আসার ঠিক আসবে। টাকা যারা ঠিক মতন দেওয়ার ঠিক টাকা দেবে। এত পরিবর্তন মুখ বুজে মেনে নিয়েছে যারা, এই পরিবর্তনটা নাহয় গালাগালি দিয়ে মেনে নেবে!

ঠিক কথা মশাই। রাতারাতি নোট বন্দীর খবর শুনে ব্যাঙ্কের বাইরে সব থেকে বেশি ভিড় ছিল বয়স্ক মানুষের। আসলে বসেই যখন আছি টেবিলের ওপাশে গিয়ে একবার ভেবে দেখলে ক্ষতি কি? তাই ভেবে দেখছিলাম।

এত কিছু লিখতাম না। কিন্তু আমার মতই যারা রোজ আফসোস করে অথচ মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনা। তাদের জন্যেও এই লেখা। চটক, জৌলুস তো দশ শতাংশের হাতে। তাদের কাছে এত বাহুল্য চর্চিত জিনিস কেনা অসম্ভব কিছু না। কিন্তু দিনের শেষে ভাত ডাল আর বিরিয়ানির তফাৎটা সাধারণ মানুষ বোঝে। আমরা সেই পাড়ার ভিতর, ছোট চেম্বার, ভাত ডাল ডাক্তার। আমাদের না আছে website না আছে Google শীর্ষ খ্যাতি। আমাদের কাছে রুগী ফোন করে তার গাড়ি কোথায় park করবে জানতে চায় না। শুধু আমরা চেম্বারে আছি কিনা জানতে চায়। কম খরচের একটা নির্ভরযোগ্য জায়গা ছিলাম। এখন আমরাও নতি স্বীকার করছি এই বিরাট পরিবর্তনের। নতি স্বীকার করছি এই বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাসের দৌরাত্বে। মাথা নোয়াচ্ছি ডাক্তার হয়েও এই রোগের সামনে।
এই সময় সাহসের সাথে চেম্বার করে বাহাদুরের খেতাব নেওয়ার থেকে নিজের অজ্ঞতা বা অসামর্থ্য ভাব কে মেনে নিয়ে অবসরে থাকা অনেক শ্রেয়। বিবেকের কাছে অন্তত পরিষ্কার থাকবো যে অজান্তে কোন রুগীর ক্ষতি আমি করিনি।

আমার facebook এর দৌরাত্ম্য খুব সীমিত। হয়ত এই দীর্ঘ লেখা কেউ পড়েও দেখবে না। কিন্তু সবার কাছে অনুরোধ একটু নিয়ম মেনে যদি এই রোগের সংক্রমন বন্ধ করা যায়। দয়া করে চেষ্টা করুন। কারেন্ট নেই বলে সবার অসুবিধা হচ্ছে এ কথা আমি অস্বীকার করছিনা। কিন্তু তাই বলে পাড়ার মোড়ে একত্রে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে, লাইনের কাজ দেখার জন্যে ভিড় করে, আপনিও অজান্তে হয়ত রোগ বহন করে আনছেন বাড়িতে। সারা দেশে হঠাৎ এমন রোগাক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যদি কারো দোষ থেকে থাকে সেটা আমাদের। আমরাই নিয়ম ভেঙেছি। এখন আমরাই তার ফল ভোগ করছি। এখনো হয়ত সময় আছে ফিরে দাঁড়ানোর। চেষ্টা করে দেখুন যদি এই সংখ্যা নামিয়ে আনা যায়। নইলে যা বুঝছি, তাতে আরো দুমাসের বেকারত্ব অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে।

(C) পাগলা দাশু

শনিবার, ৯ মে, ২০২০

COVID-19 and Dentistry (Bengali)

          


নিয়ম বদলের করোনা সঙ্ক্রমণ!!

 

    একটু একটু করে সব কিছু বদলে দিলো এক নতুন মহামারী করোনা। চিকিৎসা ব্যাবস্থা সহ গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সমস্ত প্রেক্ষাপটে প্রভাব রয়ে যাবে এই করোনা সঙ্ক্রমণের। গত কয়েক মাসের সংবাদ মাধ্যম বা ডিজিটাল মিডিয়া সুত্রে আমরা অনেকটাই অবগত এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে। কিন্তু কিছু ফাঁক তো থেকেই যায় নিজের জানা ও বোঝার মধ্যে।

 

করোনা সম্পর্কে এত ভয় কেন?

     ভয়ের কারণ আসলে রোগটার বয়স বড্ড কম আর একদম অজানা প্রভাব। এই করোনার মতই মারাত্মক সংক্রামক রোগ হল Chicken Pox, Measles, Tuberculosis, SARS, MERS ও আরও অনেক। একজন Pox/Measles এর রুগী তার অজান্তেই আসেপাশের দশ জন রুগীকে সংক্রামিত করতে পারেন। কিন্তু এখন যেহেতু এই রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা অনেক বেশী সতর্ক ও অভ্যস্ত তাই অনেক সড়গড় এই রোগের চিকিৎসায়। নিশ্চই এতদিনের খবর থেকে আপনারা আন্দাজ পেয়েছেন সারা বিশ্ব কি ভাবে এই রোগের চিকিৎসা করতে নাজেহাল হয়েছে। তিন মাস লেগে গেছে শুধু এই টুকু জানতে যে কোন ওষুধ ঠিকঠাক কাজ করবে এই অসুখে। আর এইখানেই যত বিপত্তি। রোগটি সম্পর্কে আমরা এখনও একটু হলেও ধন্দে রয়েছি। কাজেই এই রোগের চিকিৎসা বা সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্পর্কে আমরা একদম সঠিকভাবে ওয়াকিবহাল নই। যে কাজ হচ্ছে বা ভাবা হচ্ছে সম্ভাব্য সংক্রামক প্রতিরোধ এর জন্য তাও একটা আন্দাজে।

 

 

 

দাঁতের ডাক্তারির সাথে কি সম্পর্ক?

     একজন দাঁতের ডাক্তারের কাজটাই সীমাবদ্ধ মুখমণ্ডলে। করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত রুগীদের ক্ষেত্রে মূল অসুখটি শ্বাসনালীর (Upper Respiratory Tract Infections)। আমাদের মুখগহ্বর ও নাসা পথের মধ্যে এই ভাইরাস স্থায়ী হয়। কিছু গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে এই ভাইরাস নিজের গোপন সুরক্ষিত আস্তানা বানিয়েছে মানুষের লালা গ্রন্থিতে (Salivary Glands)। আর এখানেই আমাদের দাঁতের ডাক্তারদের মূল সমস্যা।

 

আমাদের কাজে থুতুর অংশীদারি সবচেয়ে বেশী। রুগীরা আমাদের কাজের চেয়ারে বসে থুতু ফেলবেন। আমরা যে যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করি, যেমন Root Canal Treatment, দাঁতের Filling করা, দাঁত বাধানো, দাঁতের Crowns & Bridges বানানো, Scaling বা দাঁত পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজে। সেই যন্ত্রপাতি থেকে মাইক্রো ড্রপলেট (Micro droplets) আকারে জলকণা তৈরি হয়। সেগুলি মুখের ভিতরে ধাক্কা খেয়ে বাইরে ছিটকে আসে। আর সঙ্গে আসে রক্ত, থুতু, মাইক্রো অর্গানিজম কিছু। একে বলে এয়ারোসল জেনারেটিং প্রসেডিয়োর।(AGP)


এয়ারোসল (Aerosol) এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়; একরকম সূক্ষ্ম দ্রবণের কণা যা বাতাসে দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়ে ভেসে বেরাতে পারে। এই এয়ারোসল আমাদের স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস, কথা বলা, হাঁফানো, বা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে তৈরি হয়। হিসেব করে দেখা গেছে, একজন মানুষ কোন রকম স্থান পরিবর্তন না করে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাঁচি দিলে, তার মুখ থেকে তৈরি এয়ারোসল বাতাসের মাধ্যমে প্রায় আট ফুট অব্দি দূরত্ব অতিক্রম করে মাত্র ২-৩ সেকেন্ডে। এর একটা খুব স্বাভাবিক উদাহরণ যেমন আপনার থেকে প্রায় দশ ফুট দূরত্বে দাঁড়িয়ে কোন ব্যাক্তি বিড়ি বা সিগারেট ধরালে আপনি কোন রকম স্থান পরিবর্তন না করলেও গন্ধ পাবেন ৪-৫ সেকেন্ডের মধ্যেই। আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে সব থেকে বড় বিপদ।

 

 

দাঁতের ডাক্তারের কাছে আসলে তাহলে কি কি নিয়ম মানতে হবে?

 

Ø  প্রথম নিয়ম এবং সব থেকে কড়া নিয়ম মাস্কের(mask) ব্যাবহার। ডাক্তার না বলা পর্যন্ত আপনাকে মাস্ক পরেই থাকতে হবে। মাস্ক ছাড়া চেম্বারে আসা মানে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা। ডাক্তার নিজের সম্ভাব্য সব রকমের প্রতিরোধ ব্যাস্থার আড়ালে থাকবেন। কিন্তু ঠিক আপনার আগেই আসা রুগী যদি করোনা সংক্রামিত হয়ে থাকেন। তার শ্বাস প্রশ্বাসে তৈরি হওয়া এয়ারোসল আপনাকে সংক্রামিত করে দেবে। সঙ্গে করে আলাদা কোন ব্যাগ বা বড় প্যাকেট আনবেন না। একটি ছোট hand sanitizer শিশি নিজের কাছে রেখে দেবেন।  

Ø  দ্বিতীয় নিয়ম সামাজিক দূরত্ব (Social distancing) বজায় রাখা। চেম্বারের ভিতরে বা বাইরে ভিড় দেখলে অবশ্যই এড়িয়ে যান। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন। আমাদের কাজের জন্য রুগী প্রতি গরে ২৫-৩০ মিনিট সময় লাগে। ভিতরে কোন রুগীর কাজ চলছে আন্দাজ পেলে চট করে ভিতরে আসবেন না। একজন রুগীর কাজ হয়ে যাওয়ার পরে প্রায় ১০-২০ মিনিট সময় লাগে সব কিছু পরিষ্কার করে নিতে। বাতাসের স্বাভাবিক হতে সময় লাগে প্রায় 2 ঘণ্টা। কাজেই ভুল করেও চেম্বারে ভীর থাকলে ভিতরে আসবেন না।

Ø  এমন হলে কি করে চলবে? একটা চেম্বারে ভিড় তো হতেই পারে। তাই বলে চেম্বারে আসব না? এখানেই DCI থেকে নিয়ম লাঘু হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় কেবল মাত্র একটি রুগীকেই দেখা যাবে। তাও কাজের ওপর নির্ভর করে. 

    যেমন একজন রুগী যার স্কেলিং হবে। তার কাজ শেষ হওয়ার পরে অন্তত এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে তবেই পরের রুগীকে ভিতরে আসতে দেওয়া যাবে। এই কারণে প্রত্যেক রুগীর কাছে অনুরোধ, ঠিক সময়ে আসার চেষ্টা করবেন। কোন কারণে দেরী হতেই পারে। সেক্ষেত্রে আগে থেকে ফোন করে জানিয়ে দেবেন। যদি না আসতে পারেন তাহলে সেটাও জানিয়ে দেবেন আগে থেকে। সময় মত এসেও যদি দেখেন আপনার আগের রুগীর কাজ তখনও শেষ হয়নি। তাহলে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করবেন। কোন বদ্ধ জায়গায় দাঁড়াবেন না। যেখানে হাওয়ার চলাচল রয়েছে সেখানে দাঁড়াবেন। সংক্রমণের সম্ভবনা কমবে।

Ø  দাঁতের ডাক্তারের কাছে পরিবার নিয়ে এক সাথে আসবেন না। কেবল মাত্র বাচ্চা, বয়স্ক মানুষ ও মহিলা রুগীদের সঙ্গে একজন করে বাড়ির লোক চেম্বারে আসতে পারেন। কোন শিশু যদি রুগী না হয় তাহলে তাকে নিয়ে চেম্বারে আসবেন না। নিতান্তই আসলে তাকে সঙ্গে নিয়ে সামলে রাখতে হবে। ছোট বাচ্চারা অজান্তে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে পারে। তার থেকে বাচ্চাটি সংক্রামিত হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণ আটকানোর জন্য আমরা যেসব কেমিক্যাল ব্যাবহার করি সেগুলো বাচ্চাদের হাতে লাগতে পারে। এবং সেটা বাচ্চাদের মুখে গেলে খারাপ। কাজেই কোন ছোট বাচ্চাকে নিয়ে এলে অবশ্যই তাকে সামলে রাখতে হবে।

Ø  আপনি যদি কিছুদিন ধরে শ্বাস কষ্ট, জ্বর, বা সর্দি কাশি নিয়ে ভুগছেন। তাহলে অতি অবশ্যই আপনার দাঁতের ডাক্তারের কাছে আসা যাবেনা। হতেই পারে আপনি করোনা রোগে সংক্রামিত নন। কিন্তু এই অজানা রোগের ও রুগীর ভিড় আমরাও নিশ্চিন্ত নই কোন রুগী করোনা বহন করে আনবে। আপনি নিজের ইমিউন সিস্টেম এর দুর্বল মুহূর্তে সংক্রমণের মধ্যে এলে আপনার বিপদের সম্ভাবনা শতকরা নব্বই ভাগ।

Ø  আপনি নিজেও হয়ত জানেন না আপনি করোনা রোগে সংক্রামিত। বাজারের ভিড় হোক, কোন প্রবাসী আত্মীয় বা পরিবারের অন্য কারো থেকে কোন ভাবে আপনার শরীরে রোগটি হয়ত এসেছে। কিন্তু আপনার ইমিউন সিস্টেম (Immunity) এর কারণে সেটি প্রভাব ফেলতে পারেনি। ঠিক এই কারণে নিজের গতিবিধির যথাযথ বিবরণ ডাক্তারের কাছে স্বীকার করুন। কোন কারণে যদি সন্দেহ থাকে যে আপনি গত এক মাসের মধ্যে হয়ত কোন ভাবে সংক্রামিত হয়েছেন অন্য কোন মানুষের থেকে। সে কথা ডাক্তারের কাছে উল্লেখ করুন। সেক্ষেত্রে ডাক্তার, আপনার জন্য ওষুধের তালিকা সঠিক ভাবে নির্ধারণ করতে পারবেন। অনেক ওষুধ আছে যা আমাদের শরীরে ইমিউন সিস্টেমএর স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। তখন হয়ত করোনা রোগটি দ্বিতীয়বার আপনার শরীরে সংক্রমণের প্রভাব ফেলতে পারে।

চেম্বারে আসার পরে, একটি প্রশ্ন তালিকা আপনাদের দেওয়া হবে। প্রতিটি প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে তার যথাযথ উত্তর দেবেন। এই তালিকার সাথে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। তার মধ্যে নিজের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করবেন। এই ফর্ম, ট্রেসিং (Contact tracing) এর কাজে ব্যাবহার হবে। ধরুন কোন কারণে যদি ডাক্তার নিজে এই রোগে সংক্রমিত হয়ে যায়। তখন এই ফর্মগুলির মাধ্যমে প্রশাসন আপনাদের ট্রেস (Trace) করতে পারবে ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে পারবে। কোন রকম তথ্যের গোপনীয়তা আপনার জন্যেই সহায়ক হবে না।

   কোন কোন কারণে একজন ডাক্তার আপনার চিকিৎসা করতে বিরত থাকতে পারেন?

    DCI (Dental Council of India) এর দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী একজন ডাক্তারকে তার রুগী নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। *The Dental surgeon reserves right to treat/defer/refer/ me accordingly. (IDA, WB state branch published COVID-19 advisory for dental practice; page 16)

                     
                     যে যে রুগীর চিকিৎসা করা সম্ভব নয় পরিকাঠামোগত কারণে তা হল,
                     (Elective Dental Treatments) 

    ১) আপনি যদি March'2020 এর পরে বাইরের কোন দেশ বা রাজ্য থেকে ফিরে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার Elective Dental Treatments করা যাবে না।

২) আপনার পরিবারের কেউ, যে আপনার সাথেই থাকেন, তাদের মধ্যে কেউ বাইরের দেশ বা রাজ্য থেকে March'20 এর পরে এদেশে ফিরে থাকলে আপনার Elective Dental Treatments করা যাবে না।

৩) আপনার বাসস্থান যদি কোন করোনা সংক্রামিত এলাকার হয়, সরকারী ভাবে ঘোষিত Red Zone  (Containment zone), সেক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসা করা যাবে না।

৪) আপনি নিজে যদি করোনার রুগী হয়ে থাকেন, বা আপনার পরিবারের কেউ করোনা সংক্রামিত হয়ে থাকলে আপনার চিকিৎসা করা যাবে না।

৫) কোন কারণে একজন করোনা সংক্রামিত রুগীর সংস্পর্শে আপনি এসে থাকলে আপনার চিকিৎসা সম্ভব নয়। নিতান্তই যদি না করোনা নেগেটিভ এর রিপোর্ট আপনার কাছে থাকে।

৬) আপনি যদি শ্বাস কষ্টের রুগী হয়ে থাকেন, এবং নিয়মিত ইনহেলার (Inhaler) ব্যাবহার করে থাকেন, তাহলে আপনার চিকিৎসা (Elective Dental Treatments) করা সম্ভব নয়।

৭) আপনি যদি Diabetes এর রুগী হয়ে থাকেন এবং আপনার HbA1C >6.8% এর উপরে হয়ে থাকে। আপনার চিকিৎসা (Elective Dental Treatments) সম্ভব নয়।

৮) যে সকল রুগী হার্টের সমস্যার জন্য নিয়মিত রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান। যেমন Deplat/Ecosprin জাতীয়। তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা (Elective Dental Treatments) সম্ভব নয়।

৯) নিয়মিত Steroid জাতীয় ওষুধ যাদের খেতে হয়, তাদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসা সম্ভব নয়।

 

 চিকিৎসা সম্ভব নয় কেন?
     চিকিৎসা সম্ভব নয় মানে রুগীকে দেখে ওষুধ দেওয়া যাবে না তা নয়। কোন রকম কাজ যেমন Root canal treatment, দাঁত তোলা, দাঁত বাধানো ইত্যাদি কাজ করা যাবে না। 
    
    

নিয়মের বেড়াজালে এখন সম্পূর্ণ চিকিৎসা ব্যাবস্থা অনেক জটিল হয়ে উঠেছে। আপনাদের থেকে নির্ভরযোগ্য সহযোগিতা পেলে আবার চেম্বারের কাজ শুরু করা যাবে। সময় লাগবে একটু এই রোগের থেকে বেড়িয়ে আসতে বা সব নিয়ম কে অভ্যাস করে নিতে। কিন্তু চেষ্টা করলে আমরাই পারবো সংক্রমণ কে রুখে এই রোগ কে সমাজ থেকে সরিয়ে দিতে.

 

Dr. Arka Bhattacharya, BDS